সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পাঠক আজ যাদের নিয়ে লেখা হয়েছে তারা হলেন রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। মাদক, প্লটবিক্রি এবং দেহ ব্যবসা সবই তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এরা রূপগঞ্জের অনেক প্রভাবশালীদের চেয়েও ক্ষমতাধর। তাদের অপকর্ম নিয়ে সংবাদচর্চার অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব।
চলনে বলনে তাদের কেউ বলে ডন। কেউ বলে খলনায় । তবে তারা বলিউডের অমলেশপুরিও নয়। নয় ঢালিউদের মিশাসওদাগর। তারা ক্রাইম জোন খ্যাত চনপাড়ার অঘোষিত ডন। যাদের আগে পিছে থাকে সন্ত্রাসী বহর। তাদের ইশারায় চনপাড়ায় সব হয়।তাদের আদেশ অমান্য করলে নেমে আসে নির্যাতনের খড়ক। করা হয় হত্যা। প্রতিবছর তারা চনপড়ায় একাধিক হত্যা করে। চনপাড়াবাসীর কাছে তারা মূর্তমান আতঙ্ক। এদের মধ্যে অনেকে কোটি টাকার মালিক।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড , মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ ব্যবসার করেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চনপাড়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন ৯ নং ওয়ার্ডের হাসমত আলীর ছেলে শমসের, মৃত আজহারের ছেলে শামীম,মিস্টি ওয়ালা শাহিনের ছেলে গন্ড বিল্লাহ, আফসার আলী ফরমার ছেলে তপু, মৃত বাদশার ছেলে ফেন্সি ফারুক, মৃত অবিশ্বাসের ছেলে শরীফ ওরফে পিস্তল শরীফ। মৃত মিজানের ছেলে পিস্তল সায়েম, ফেন্সি ফেকান, সাত্তার পাগলের মেয়ে স্বপনা, মৃত আনোয়ারের ছেলে হাসিফ, মন্তুর ছেলে শাওন, ইয়াবা স্বপন, সেকান।
শমসেরের বিরুদ্ধে মাদকসহ প্রায় ২ ডজন মামলা রয়েছে। শাওনের বিরুদ্ধে মাদক ডাকাতি নারী নির্যাতন সহ ২ ডজন মামলা রয়েছে। স্বপ্না সুন্দরী নারী সরবরাহ করে প্রভাবশালীদের কাছে। শরীফ প্লট ব্যবসার সাথে জড়িত । বস্তিতে প্লট ক্রয় বিক্রিয়ের জন্য তাকে ২০% কমিশন দিতে হয়। বিভিন্ন সুত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, এলাকার মাদক ব্যবসা, পানি ব্যবসা, বিদ্যুত বিল,পানি বিল, গ্যাস বিল, রাস্তার কাজ, পলট বিক্রি সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে। নামে বেনামে রয়েছে তাদের কোটি টাকা।
এছাড়া আওয়ামী লীগ নেত্রী কুট্টি হত্যার আসামী রাজা ,সিপি শাহীন, জয়নাল, খলিল,স্বপনা।এরা প্রত্যেকে কুট্টি ছাড়াও একাধিক হত্যা মামলার আসামী। একটি অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কুট্টি হত্যার আসামীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ঐসকল আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনলে চনপাড়ায় মাদক ব্যবসা, হত্যা চুরি ,ডাকাতি কমে আসবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তাছাড়া ঐ সিন্ডিকেট চক্রের কারণে চনপাড়ায় কেউ নতুন ব্যবসা করতে পারে না। তাদের কাছে চনপাড়াবাসী জিম্মি রয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।